নৌকার বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে চায়, এমপি বাদশা’র জনসভায় ১৪ দলীয় নেতৃবৃন্দ

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিন ছিলো বৃহস্পতিবার। এদিন সাম্প্রতিককালের সর্ববৃহৎ নির্বাচনী প্রচার মিছিল করেছে রাজশাহী ১৪ দল। আওয়ামী লীগ ওয়ার্কার্স পার্টিসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা এবারও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ‘জিতবে আবার নৌকা’ স্লোগানে প্রকম্পিত করেছেন রাজশাহী নগরী। ঢাকঢোল, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে গানের তালে তালে বের হওয়া নৌকার মিছিল নিমেষেই রূপ নেয় জনসমুদ্রে। মিছিল থেকে শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের জয় নিশ্চিত করেই ঘরে ফেরার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ১৪ দলের নেতাকর্মীরা।

এর আগে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বদরুজ্জামান খায়েরের সভাপতিত্বে একটি নির্বাচনি জনসভা নগরীর জিরোপয়েন্ট সংলগ্ন বড় মসজিদ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী-২ আসনে নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন । প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

জনসভায় নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীবাসীর জন্য আমাকে যে দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন, তা আমি এ পর্যন্ত যথাযথভাবে পালন করেছি। আমার প্রতি নেত্রীর আস্থা নষ্ট হয়, এমন কোন কাজ কখনোই করিনি। যে কারণে টানা চতুর্থ বারের মতো তিনি নৌকা প্রতীক দিয়ে আমাকে আপনাদের মাঝে পাঠিয়েছেন। এমপি বাদশা বলেন, ২০১৮ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের বেতন ভাতা আটকে ছিল। তারা ঈদ করতে পারবে কি পারবে না এ নিয়ে যখন শংকিত ছিল তখন আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমি আমার উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা থেকে তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করে ঈদ করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। এসব এখন অনেকেই ভুলে গেছে। সিটি কর্পোরেশনে প্রথমদিকে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল না। ত্রিশটি কাউন্সিলরকে ডেকে আমি এক কোটি টাকা করে দিয়েছিলাম ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে উন্নয়নের জন্য। যারা বলে রাজশাহীর জন্য আমি কিছুই করিনি তারা মিথ্যাবাদী।

জনসভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, আমিও এই আসনে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলাম। নৌকা প্রতীক পাইনি বলে নৌকার সঙ্গে বেইমানি করিনি। যতদিন জীবিত আছি, ততদিন আমাদেরকে কেউ নৌকা প্রতীকের বাইরে নিয়ে যেতে পারবেনা।

মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবুর সঞ্চালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মির ইকবাল, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রেজাউল ইসলাম বাবলু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক তোতা সহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।