ভারতের একটি আদালত চত্ত্বরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…
ভারতের একটি আদালত চত্ত্বরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ডিভোর্সের মামলার আদালতে হাজিরা দিতে এসেছিলেন এক দম্পতি। এ সময় আদালত চত্বরেই স্ত্রীকে গলা কেটে ফেলেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রীকে হত্যার পর আক্রমণ করতে যান তাদের শিশু সন্তানটিকে। তবে আশেপাশের মানুষ ছুটে এসে শিশুটিতে রক্ষা করতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ভাতরের কর্ণাটকের হাসান জেলার হোলেনরসিপুর শহরের আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাত বছর আগে ওই দম্পতি বিয়ে হয়। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় তারা আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। ওই দম্পতির মধ্যে সমঝোতার জন্য আদালতে ডাকা হয়েছিল। বিচারক এবং আইনজীবীর পরামর্শের পর ওই ব্যক্তি আদালতকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, তিনি তার দুই সন্তানের স্বার্থে নিজেদের মতপার্থক্যকে কবর দেবেন। সমঝোতায় রাজি হওয়ার পরই তার স্ত্রীর পেছনে পেছনে টয়লেটে গিয়ে তার গলা কেটে ফেলেন ওই ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে থাকা তাদের শিশু সন্তানটিকেও আঘাত করার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু আশেপাশের মানুষ এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এরপর ওই ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে উপস্থিত জনতা ধাওয়া করে তাকে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করেন। তার স্ত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।