রাজশাহীতে ঈদ পুনর্মিলনী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডে ঈদ পুনর্মিলনী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল দশটায় নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন ২৭ নং ওয়ার্ড এর বালিয়াপুকুর এলাকার সেরিকালচার মাঠে এবি এজেন্ট ব্যাংকের আয়োজনে ও মেসার্স যমুনা ট্রেডার্স এর সহযোগিতায় এ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।

ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চারটি টিম অংশগ্রহণ করে। টিম গুলো ফুলের নাম অনুসারে রাখা হয়, যথা টগর, জবা, শিউলি ও শাপলা। টুর্নামেন্টটি চারটি টিমের মধ্যে নকআউট ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয় এতে দুটি টিম ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। প্রথম খেলাটি জবা বনাম টগরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এতে টগর ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। দ্বিতীয় খেলায় শিউলি বনাম শাপলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এতে শিউলি ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। বিকেলে টানটান উত্তেজনায় জবা ও শিউলির মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ফাইনাল খেলা। ফাইনালে শিউলি দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

ঈদ পুনর্মিলনী ক্রিকেট টুর্নামেন্টটিতে সভাপতিত্ব করেন ২৭ নং ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর আনারুল আমিন আজব। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অপারেশনস কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি সাইফুল আলম বাদল। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা এবং এ বি এজেন্ট ব্যাংকিং এর স্বত্বাধিকারী মোঃ টুকু উপস্থিত ছিলেন। টুর্নামেন্টটিতে ২৭ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য টুর্নামেন্টে আয়োজকরা বেশ কিছু চমকপ্রদ নিয়মাবলী নির্ধারণ করেন। সেগুলো হচ্ছে প্রত্যেকটি খেলা ১২ ওভারে অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেক খেলায় ২৩ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রে ১১ জন শুধু ফিল্ডিং করতে পারবেন। এছাড়া বল করার ক্ষেত্রে যাদের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছর তারা আগে ৬ হবার বল করবেন এবং বাকি ৬ ওভার বল করবেন জুনিয়র খেলোয়াড়রা। এছড়া ব্যাটিং এর ক্ষেত্রে ২৩ জনই ব্যাট করতে পারবেন। তবে একজন খেলোয়াড় সর্বোচ্চ ৩০ রান করতে পারবেন, ৩০ রান হয়ে গেলে তাকে বাধ্যতামূলক প্যাভিলিয়নে ফেরত যেতে হবে। টুর্নামেন্টটিতে বিভিন্ন বয়সের মোট ৯২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেন। আর খেলা চলাকালীন আম্পেয়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে গণ্য করা হয়।