রাজশাহী নগরীর শতভাগ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে
বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে হাসনাত হাকিমের প্রতিবেদনে…
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশের ৭০ ভাগ জনগোষ্ঠীকেকে টিকার আওতায় আনতে ‘একদিনে এক কোটি টিকাদানের’ সরকারি পরিকল্পনা নিয়ে সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে।
এরই অংশ হিসেবে সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী রাজশাহীর বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে গণটিকা প্রদান করা হয়। টিকা গ্রহণে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিকা রেজিস্ট্রেশনের মতো শর্ত না থাকায় টিকাকেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
এদিকে জানান, রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগে প্রায় ৩৫ লাখ টিকা মজুদ আছে। বিভাগের ৮ জেলায় ৬ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকাদানের পরিকল্পনা রয়েছে। টিকাদানের জন্য সকল জেলার প্রতিটি উপজেলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে ৩টি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
বিভাগে প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ জনগোষ্ঠীর ৬৪ ভাগ প্রথম ডোজ এবং ৪২ ভাগ দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছে বলে জানান, রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাবিবুল আহসান তালুকদার। এদিকে, রাজশাহী জেলায় প্রথম ডোজে ৬১.৫ ভাগ ও দ্বিতীয় ডোজের আওতায় এসেছেন ৫৫ ভাগ মানুষ।
এবং ৯ টি উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৩ টি করে বুথে গণটিকাদান চলছে বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক।
এছাড়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নগরীর প্রায় সব মানুষ ১ম ডোজের আওতায় এসেছেন। তারপরও নিয়মিত স্বাস্থ্য সেন্টারের বাইরে ৩০ টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধায়নে ৩০ টি বুথ বসানো হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে সাড়ে ৪ হাজার এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতি বুথে ৩০০ জনকে টিকা প্রদানে কথা থাকলেও টিকা কেন্দ্রে আসা প্রত্যেককেই টিকা দেয়া হবে।
সারাদেশের মত ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের এক ডোজ করে ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। এবং রাজশাহীতে আজ থেকে প্রথম ডোজ দেয়া পুরোপুরি বন্ধ না হলেও এভাবে গণটিকা কার্যক্রম চালানো হবে না; এমনটাই জানান সংশ্লিষ্টরা।