রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪টি আবাসকি হলে কোরআন পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান, সৈয়দ আমীর আলী, শহীদ হবিবুর রহমান ও মতিহার হলে গত মধ্য রাতের আঁধারে পবিত্র কোরআন পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা।

রাবি’র সৈয়দ আমীর আলী হলের মুক্তমঞ্চে একটি পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়নো দেখতে পায় এক শিক্ষার্থী। এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো ৩টি হলে এবং জিয়াউর রহমান হলের মসজিদে একটি কোরআন শরীফ পোড়ানো দেখা যায়। এদিকে ঘটনার প্রকাশের পরপরই হলে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে শিক্ষার্থীরা বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। অনেকেই এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার চেষ্টার অংশ হিসেবে দেখছেন। জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসে নয় সদস্য বিশিষ্ট কমেটি ঘোষনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খানকে প্রধান করে হল প্রভোস্ট, প্রধাক্ষ্য, আবাসিক হলের শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলার কমিটির সদস্যরা রয়েছেন এ কমিটিতে। এদিকে জিয়াউর রহমান আবাসিক হলের দেয়ালে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির লোগো আঁকা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুণজন চলছে।

এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ এনে জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এছড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মতিহার জোনের ডিসি মো: মোমিনুল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাথে বসে আইনগত যা ব্যবস্থা তা গ্রহন করা হবে।

এ ঘটনাকে একটি উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য যা কিছু করা দরকার আমরা করবো।