রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি শান্ত, পুলিশ ও রাবি প্রশাসনের পৃথক দুটি মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনার তৃতীয় দিন আজ ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষাথীদের দাবি মেনে নিয়েছেন এবং আগামিকাল থেকে যথাসময়ে ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আজ সকাল থেকে ক্যাম্পাসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আনাগোনা খুব একটা লক্ষ করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে আন্দোলনকারীদের রাখা গাছের গুঁড়ি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে এখনো বড় কোন যানবাহন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের বিনোদপুর দিয়ে চলাচল করছে না। বাইপাস মহাসড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর বাজারের দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। রাজশাহী সিটি মেয়র এবং রাজশাহী চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্টিজের নেতাদের সঙ্গে বসে দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলা জানান বিনোদপুর বাজার দোকান ব্যবসায়ি সমিতি’র সাধারন সম্পাদক।

এদিকে, আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলন উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কিছু দাবি রয়েছে তা আমরা মেনে নিয়েছি, তবে সব দাবি তো এখন মানা সম্ভব না, তবে অধিকাংশই দাবি মানা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো, সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণ এবং বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ করতে হবে। প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করতে হবে। দ্রুত শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের সকল প্রকার চিকিৎসার ব্যায়ভার নিতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপরে রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ কারীদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। বিনোদপুর এলাকায় শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তার নিশ্চিতকরণ। আগামীকাল থেকে যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হকসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে এঘটনায় মহানগরীর মতিহার থানা পুলিশের এসআই আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ বক্স ও মোটরসাইকেলে আগুন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। তবে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এখনো ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার (১১ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।