চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমার্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে জেলা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল ওদুদের সমর্থক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সামিউল হক লিটনের সমর্থকের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। তবে তারা ঠিক কোন পক্ষের তা জানা যায়নি। পরবর্তীতে, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যদরে হস্তক্ষেপে পরস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এদিকে সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণের কথা থাকলেও বিলম্বে ৮টা ৪০ মিনিটে শুরু হয়। ভোটকেন্দ্রের আশপাশে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।

র‌্যাব-৫ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রুহফি তাহমনিা তৌকির বলনে, ভোটকেন্দ্রে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। এরপর দু’পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ উপনির্বাচনের ২৭ নম্বর ভোটকেন্দ্র নবাবগঞ্জ জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার শহীদুজ্জামান বলনে, সফটওয়্যার জটিলতায় ভোটগ্রহণ শুরু করতে ১০ মিনিট দেরি হয়। আমরা আধাঘণ্টা আগেই ভোটারদের জানিয়েছি। ইভিএমের সময় ধরেই শেষের দিকে ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। ভোট শুরুর আগে দেখি দুটি গ্রুপ গণ্ডগোল বাঁধিয়েছে। এটা দেখে আমি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বলি এরা যারাই হোক না কেন বৈধ ভোটার ছাড়া এদেরকে বের করে দেন। যদিও তাদের বের করতে কিছুটা সময় লেগেছে। পরে স্ট্রাইকিং ফোর্স এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে নবাবগঞ্জ জেলা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি অবিষ্ফোরিত ককটেল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল টিম এসে ককটেলটি উদ্ধার করে।