রাজশাহীতে “কোচিং সেন্টার” পরিচালকে ফাঁসানো হয়েছে ॥ অভিযোগ পরিবারের

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

রাজশাহী উপশহর এলাকা থেকে পিস্তল ও মাদকদ্রব্যসহ আটক কোচিং সেন্টারের পরিচালক মজনু আহমেদ সাগরকে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সোমবার সন্ধ্যায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে মজনুর পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মজনু আহমেদ সাগরের বড় ভাই গোলজার হোসেন বলেন, পরিকল্পীতভাবে মজনুকে ফাঁসানো হয়েছে। কারণ মজনু এধরনের ছেলে না। তিনি বলেন, মজনু দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সাথে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। তার কোনো খারাপ দিক আমরা কখনো দেখি নাই। সে পান সিগারেট পর্যন্ত খায় না। অথচ তার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধার হয়েছে। যা সাজানো ও পরিকল্পীত। তিনি বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

মজনুর মামা হেলাল উদ্দিন বলেন, যে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে সেটি অনেক পুরোনো জং ধরা। গুলিগুলোও অনেক পুরোনো। এতে প্রতিয়মান হয় যে মজনুকে কেউ পরিকল্পীতভাবে ফাঁসিয়েছে। তিনি বলেন, এক সময় নগরীর ভদ্রা এলাকার এক চিকিৎসকের সাথে তার দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের জেরেও মজনুকে ফাঁসানো হতে পারে। সংবাদ সম্মেলনে মজনুর কোচিং সেন্টারের বেশ কিছু শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, মজনু স্যার অতি ভদ্র একজন শিক্ষক। তিনি এধরনের কাজের সাথে জড়িত হতে পারে না। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখারও দাবি জানান। মজনুর গাড়িতে মাদক ও পিস্তল কি করে এলো সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মজনু আহমেদ সাগরের বাবা মোকসেদ আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে র‌্যাব-৫ সদর কোম্পানীর সদস্যরা নগরীর উপশহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মজনু আহমেদ সাগরের গাড়ি থেকে পিস্তল, গুলি এবং মাদক উদ্ধার করে। একই সাথে তাকে আটক করা হয় এবং সোমবার সাগরকে আদালাতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।