রাজশাহীতে রমজানের মধ্যভাগে এসেও কমেনি নিত্যপণ্যের অস্থিরতা

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

রাজশাহীতে কাটছে না নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা, রমজানের মধ্যভাগে এসেও নিত্যপণ্য মূল্যের টালমাটাল অবস্থা। খাদ্যপণ্যের সংকট না থাকলেও মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে খোদ প্রশাসনকেই। বিক্রেতা ও মজুতদারের উদ্ভুত আচরণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।

রমজানকে ঘিরে রাজশাহীর বাজারে আগেভাগেই বাড়তে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যা মধ্য রমজানে এসেও অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক দফায় বেড়েছে সব রকমের নিত্যপণ্যের দাম। মাছ, মাংস ও মুরগির সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কাঁচা সবজির দামও। তবে দুর্ভোগের ঘানি টানতে হচ্ছে ভোক্তাশ্রেণিকেই।

রাজশাহী নগরীর নিত্যপণ্যের বাজার ঘুরে দেখা যায়, তুলনামূলক সব বাজারেই ক্রেতা উপস্থিতি অনেক বেশি, ভিড় লক্ষ্য করা যায় মাছ-মাংসের দোকানগুলোতে। এসব দোকান গুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা দরে। দেশী ৫৫০ সোনালী ৩১০ ও লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ টাকা কেজিতে। আর গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭২০, খাসির মাংস ১০০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। লাল মুরগির ডিম ৪০ ও সাদা মুুরুগির ডিম ৩৮ টাকা হালি বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, কয়েক দিনের ব্যবধানে আবারও প্রতি কেজি মাছে আকার ভেদে ১০ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, পাঙ্গাস ২৫০ টাকা, সিলভার ২৫০ টাকা, পাবদা ৬০০ টাকা, কাতলা ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, ইলিশ ৬০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ টাকা ও চিংড়ি ৮০০ টাকা থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে চালের বাজার রয়েছে কিছুটা স্থির, নতুন করে বাড়েনি কোন চালের দাম। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৫ টাকা, আটাশ ৭০ টাকা, বাসমতি ৮৫ টাকা ও স্বর্ণা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া সবজির মধ্যে বেগুন পটল ঢেঁড়স শসা প্রতি কেজি ৬০ টাকা, আলু দেশী ৪০ ও হল্যান্ড ২৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, আদা ১৬০, পিয়াজ ৩৫, কাঁচামরিচ ৮০ ও রসুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।