রামেবির নার্সিং শিক্ষার্থীদের সড়কে বসেই ‘প্রতীকি পরীক্ষা ও বিষপান’

শেয়ার করুন

বিস্তারিতদেখুননিচেরভিডিওলিংকেসেলিমউদ্দীনেরপ্রতিবেদনে…

সড়কে বসেই ‘প্রতীকি পরীক্ষা’ ও ‘প্রতীকি বিষপান’ কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) বৈষম্যবিরোধী নার্সিং অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

আজ শনিবার দুপুরে মহানগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত ও রেজাল্টের দাবিতে আন্দোলনরত নার্সিং শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন।

প্রতীকি কর্মসূচিতে বিএসসি চতুর্থ বর্ষের রিসার্চ-ইন-নার্সিং বিষয়ে পরীক্ষা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের ভেতর থেকেই উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও পরীক্ষা কক্ষ পরিদর্শক (এক্সটারনাল ও ইন্টারনাল) করা হয়। এসময় হঠাৎ পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর আন্দোলনকারী সিংহভাগ পরীক্ষার্থীকে ফেল দেখিয়ে ফলাফল প্রকাশ করা হয়। হতাশ হয়ে প্রতীকি বিষপান করেন শিক্ষার্থীরা। রাস্তায় প্রতীকি কর্মসূচি চলার সময় রোদে বেশ কিছু শিক্ষার্থী আহত হয়ে পরেন। পরে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

এ কর্মসূচিতে রামেবি অধিভুক্ত রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজ এবং বগুড়া, সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহীস্থ বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। গত বুধবার থেকে পরীক্ষা নেওয়া ও রেজাল্টের দাবিতে মহানগরীতে আন্দোলন করছেন তারা। প্রথমে পরীক্ষা গ্রহণে এক দফা দাবি থাকলেও বর্তমানে ৭ দাবিতে চলছে তাদের এ আন্দোলন।

দাবিগুলো হলো- ১. স্থগিত হওয়া ২০১৯-২০ সেশনের বিএসসি-ইন-নার্সিং কোর্সের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে দুই কার্যদিবসের মধ্যে যে কোনো কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য নির্বাহী দায়িত্ব প্রদান করতে হবে অথবা দুই কার্যদিবসের মধ্যে রামেবিতে নতুন উপাচার্য নিয়োগ দিতে হবে। ২, পরীক্ষা কমিটির সাথে সমন্বয় করে অভ্যন্তরীন ব্যবস্থায় পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ৩, আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে হাসপাতালে আমাদের ইন্টার্নশীপ শুরু নিশ্চিত করতে হবে। ৪, বেসরকারি কলেজসমূহে পরীক্ষার ফরম ফিলাপের অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ বন্ধ করতে হবে। ৫, রামেবিতে পরীক্ষার রেজাল্ট চ্যালেঞ্জের ফি প্রতি সাবজেক্ট ৫ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করতে হবে। ৬, রাজশাহীস্থ বেসরকারি নার্সিং কলেজের বিএসসি শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। ৭, রামেবির নার্সিং অনুষদে সেশনজট সৃষ্টি, পরীক্ষা বানচাল ও জটিলতার ঘটনায় সন্দেহভাজন ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অপসারণপূর্বক তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।