সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক সমাহিত

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মরদেহ দাফন করা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে। তার মৃত্যুতে সাহিত্যাঙ্গনে যে ক্ষতি হয়েছে তা কখনো পূরণ হবার নয় বলে জানান তার ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা। দেশবরেণ্য এই কথা সাহিত্যিক তার জীবদ্দশায় লিখে গেছেন অসংখ্য উপন্যাস, ছোটগল্প ও রচনা।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মরদেহ শেষবারের মতো নেয়া হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে। সেখানে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর বিভাগের পক্ষ থেকে ফুলের শ্রদ্ধা জানানো হয় গুণী এই কথা সাহিত্যিককে। এরপর বেলা ১২ টায় মরদেহ নেয়া হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাবেক সহকর্মী ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীরা এক নজর তাকে দেখার জন্য ভিড় করেন। ঘণ্টাব্যাপী রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দেশ বরেণ্য এই কথা সাহিত্যিকের মরদেহ নেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে। সেখানে জানাজা শেষে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাকে সমাহিত করা হয়।

১৯৩৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে যব গ্রামে জন্মগ্রহন করেন বাংলা সাহিত্যের পুরোধা পুয়ষ। দীর্ঘ ৩১ বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন তিনি। কথাসাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদক।
১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন তিনি। কথাসাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদক ও ২০১৯ সালে স্বাধীনতা ভূষিত করে সরকার। সার্বজৈবনিক সাহিত্যচর্চার স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে “সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।