স্থায়ী খেলার মাঠের দাবিতে রাজশাহীর চারঘাটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহি চারঘাট উপজেলার সরদহ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে নেই কোন খেলার মাঠ। এবার স্থায়ী ভাবে খেলার মাঠের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। উপজেলার এক মাত্র সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হওয়ার পরেও দীর্ঘদিন ধরে নেই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কোন খেলার মাঠ। এতে করে কমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক বিকাশে পড়ছে ভাটা।

তাই বুধবার বিকেলে সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে স্থায়ী ভাবে খেলার মাঠের দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত স্পেসা নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে চারঘাট-বাঘা মহাসড়কের দুপাশে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকসহ এলাকাবাসীদের স্বক্রিয় অংশগ্রহনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চারঘাট-বাঘাসহ আশেপাশের কয়েকটি উপজেলার মধ্যে একমাত্র সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়টিই সরকারী। এজন্য চারঘাট-বাঘাসহ আশে পাশের উপজেলা থেকে শিক্ষার্থীরা আসে ঐতিহ্যবাহি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে। তবে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে নেই নিজস্ব কোন খেলার মাঠ। মাঠ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা যেটি ব্যবহার করতো সেটি মুলত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি কর্তৃপক্ষের। একাডেমী কর্র্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন সেটি ব্যবহার করতে দিলেও বর্তমানে ওই মাঠে পুলিশ একাডেমী কর্র্তৃপক্ষ ভবন নির্মান করেছেন। এতে খেলার মাঠটি আর ব্যবহার করতে পারছে সরদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ফলে খেলার মাঠ না থাকায় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কমলমতি শিক্ষার্থীরা, হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ ভুলন্ঠিত।দ্রুত খেলার মাঠের ব্যবস্থার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা হোসনে আরা বেগম দাবি করে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর সঙ্গে চুক্তি থাকার পরেও তারা তাদের ইচ্ছামত বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ঘেষে ভবন নির্মান ছাড়াও কাটাতারের বেড়া দিয়েছেন। এতে করে শিক্ষার পরিবেশ দারুন ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমানে কমলমতি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পাঠদান ব্যহত হওয়া বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে।

বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমীর পুলিশ সুপার (এ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ এর সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি তার ব্যবহৃত মুঠো ফোনটি রিসিভ করেননি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

সরদহ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন,এ বিষয়ে মানবন্ধনে অংশ গ্রহনকারীদের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। উর্দ্ধতন কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।