জলবায়ু পরিরর্তনে রাজশাহীর আদিবাসী জীবন জিবিকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে উন্নত বিশ্বের কাছে দাবি

শেয়ার করুন

 

জলবায়ু পরিরর্তনের কারনে রাজশাহীতে আদিবাসী জীবন জিবিকার যে ক্ষতি হয়েছে তার জন্য উন্নত বিশ্বের কাছে ক্ষতিপূরন দাবি করেছেন ঐতিহ্যবাহি লোক নাটকের মাধ্যমে। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নব্ইা বটতলা এলাকায় বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ ফর ইকোলোজি এন্ড ডেভেলপমেন্ট, কোষ্টাল লাইভলিহুড এন্ড এনভার্মেন্টাল একশন নেটওয়ার্ক এবং পরিবর্তন রাজশাহীর যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এ সময় আদিবাসী মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে তাদের সংকট তুলে ধরে লোকনৃত্য পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আদিবাসী নেত্রী কস্তানতিনা হাসদা, পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপন ও সোমা হাসান। বক্তারা বলেন, ৩০ নভেম্বর থেকে আগামী ১২ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকাঠামো সনদ (টঘঋঈঈঈ)-এর উদ্যোগে ‘কপ-২৮’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ সম্মেলনে মূলত ‘জলবায়ু সনদে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রীয় পক্ষসমূহের সম্মেলন’ (ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ চধৎঃরবং) বা ‘কপ’ হলেও সাধারণভাবে ‘জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন’ নামে পরিচিত। ১৯৯২ সালের ধরিত্রী সম্মেলনে জাতিসংঘ জলবায়ু সনদ গৃহীত হবার পর ১৯৯৫ সালের মার্চে জার্মানির বার্লিন শহরে প্রথম সম্মেলন কপ অনুষ্ঠিত হয়। পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান, বৈশ্বিক সংস্থাগুলোর প্রধান, বিজ্ঞানী, জলবায়ু-অধিকারকর্মী, সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এ সম্মেলনে মিলিত হচ্ছেন। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী অতিরিক্ত গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন ও জাপানসহ ৪৩টি দেশ। এ সব দেশের কাছ থেকে জলবায়ুর ক্ষতির জন্য নায্যতা পাওনা এবং কয়লা ও গ্যাসসহ জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ নিষিদ্ধ করার দাবী জানানো হয়।