আগুনমুখোর বৈশাখে পুড়ছে রাজশাহী

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে সেলিম উদ্দীনের প্রতিবেদনে…

আগুনমুখোর বৈশাখের তাপদাহে ও ভ্যাপসা গরমে রাজশাহীর জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। টানা দুই সপ্তাহের চলমান তাপপ্রবাহে পুড়ছে রাজশাহী। ফলে প্রচন্ড গরমে নাকাল অবস্থায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে জনসাধারণসহ প্রানিকূলকে। তার ওপর বৃষ্টির দেখা নেই অনেকদিন থেকে।

চলতি সপ্তাহের গত সোমবার ১৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছিলো ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে ২০০৫ সালের জুন মাসের ২ তারিখে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২.৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

আজ বুহস্পতিবার দুপুর তিনটার পর রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন জানান, গত কয়েকদিন থেকে রাজশাহীর ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা অতি তীব্র তাপদাহ আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর দুপুর তিনটায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ২৪ শতাংশ।

গতকাল বুধবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকড় করা হয় ৪২.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আর গত পরশু মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকড় করা হয় ৪০.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭.৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এদিকে, মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনায় ‘সালাতুল ইস্তিসকার’ নামাজ আদায় ও মোনাজাত করেছেন রাজশাহী মহানগরীসহ বিভিন্ন উপজেলার মুসল্লিরা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টায় মহানগরীর বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খোলা আকাশের নিচে ও পুঠিয়া উপজেলায় এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

‘সালাতুল ইস্তিসকার’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম কমিটির রাজশাহী জেলার সাধারন সম্পাদক মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ পানির জন্য হাহাকার করছে। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। তাই আমরা সকলে একত্রিত হয়ে এই নামাজ আদায় করেছি।