৮ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে তীব্র তাপমাত্রায় পুড়ছে রাজশাহী॥ তীব্র তাপপ্রবাহ থাকবে আরও কয়েকদিন

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে হাসনাত হাকিমের প্রতিবেদনে

সূর্যের আগুনে পুড়ছে রাজশাহী অঞ্চল। রাজশাহীতে তাপমাত্রা প্রায় আট বছর আগের রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০১৪ সালের পর এত তাপমাত্রা দেখেনি রাজশাহীবাসী। এতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কোথাও যেন স্বস্তির দেখা মিলছেনা। ফলে প্রচন্ড গরমে নাকাল অবস্থায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে জনসাধারণসহ প্রানিকূলকে। দেখুন হাসনাত হাকিমের প্রতিবেদনে বিস্তারিত…

প্রায় ৮ বছর পর গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। অসহ্য এই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। অব্যাহত তাপপ্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও দিনমজুর শ্রমিকরা। প্রবাহিত বাতাসেও যেন ভেসে আসছে অগ্নিশিখা।

রাজশাহীর আবহাওয়া অফিসের তথ্যে জানা যায়, গত ৪ এপ্রিল মাত্র ০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও খরাপ্রবণ এলাকা রাজশাহীতে তার ছিঁটে ফোঁটাও নেই।

চলমান এই মৃদু তাপপ্রবাহ মাঝারি থেকে তীব্র আকার ধারণ করছে। তবে দীর্ঘ আট বছর পর গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে তাপমাত্রার পারদ ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে । এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ফলে অবর্ণনীয় গরমে জনজীবন যেন অগ্নিদহনে পুড়তে থাকার বহিঃপ্রকাশ। রাজশাহীর ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং আরো এক সপ্তাহ তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে জানালেন আবহাওয়ার এই কর্মকর্তা মো: কামাল উদ্দিন।

এদিকে, তীব্র গরমে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পানিশূন্যতাসহ ডায়রিয়ার রোগির সংখ্যা বাড়ছে। তবে বাইরের খাবার না খেয়ে বাড়ির তৈরি খাবার খেতে হবে এবং ডায়রিয়া হলে ঘন ঘন খাবার স্যালাইন খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। প্রচন্ড এই দাপদাহে নাকাল পুরো রাজশাহীবাসী।

গরমের প্রকোপে যেন জনজীবনে নেমে এসেছে এক ধরনের স্থবিরতা। আর এই গরম থেকে বাঁচতে অতিরিক্ত পানি ও শরবত পান করার পাশাপাশি খাবার স্যালাইনও পান করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।