আজ ঐতিহাসিক চারঘাট গণহত্যা দিবস

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে হাসনাত হাকিমের প্রতিবেদনে

আজ ১৩ এপ্রিল, ঐতিহাসিক চারঘাট গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ভোর বেলায় অতর্কিত হামলায় চারঘাট উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ২ শত মানুষকে গুলি করে হত্যা করে পাকিস্থান হানাদার বাহিনী।

এছাড়া নামে-বেনামে আরও কয়েকশ মানুষ আহত হন। আমাদের চারঘাট প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাচ্চু জানান, রাজশাহী জেলার ২৭ কিলোমিটার দক্ষিনে পদ্মা ও বড়াল নদীর তীরে অবস্থিত চারঘাট উপজেলা। জানা যায়, এ দিন পাক বাহিনী পুলিশ একাডেমীর ভিতর ঢুকে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় কয়েক হাজার নারী পুরুষ ও শিশু দেখতে পায়। নারী ও শিশুদের একদলে এবং পুরুষদের আরেকটি দলে ভাগ করে। পুরুষদের অপেক্ষা করতে বলে নারী ও শিশুদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। শুরু হয় ব্রাশফায়ার, সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ, আকাশে কুন্ডুলি পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। শুধু গুলি করেও ক্ষান্ত হননি পাকবাহিনী। মৃত্যু নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পেট্রল ঢেলে আগুন জ¦ালিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টাও করেন। চারঘাটে সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে পাকিস্থানী বাহিনী জেনোসাইড শুরু করেন।

এরপর ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির চেষ্টায় সরকারীভাবে ১৩ এপ্রিল চারঘাট গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। আর গণহত্যার স্মৃতি স্বরুপ চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎ মোড়ে তৈরি হয়েছে ১৭৪ জন শহীদের নামের স্মৃতিস্তম্ব।