‘বরেন্দ্রের পানিসংকট মোকাবিলায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই’ রাজশাহীতে ডায়ালগ

শেয়ার করুন

বিস্তারিত দেখুন নিচের ভিডিও লিংকে এস,এম, আব্দুল্লাহর প্রতিবেদনে…

বরেন্দ্র অঞ্চলের পানি সংকটপন্ন ২৭টি ইউনিয়নকে সংকট মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রশিক্ষণ এবং স্থানীয়দের মাঝে জনসচেতনতার বিকল্প নেই।

আজ বুধবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরাঁয় বেসরকারি সংস্থা পরিবর্তনের আয়োজনে ‘জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ঝুঁকি ও প্রভাব নিয়ে কমিউনিটি পর্যায়ে কপ-৩০ এ স্থানীয় প্রত্যাশা ও মতামত প্রতিফলন বিষয়ক ডায়ালগে অংশ নিয়ে আলোচকবৃন্দ এসব কথা বলেন। আলোচনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন উপ-উপাচার্য চৌধুরী সরওয়ার জাহান বলেন, ‘বরেন্দ্র অঞ্চলে পানিসংকট প্রকট হয়ে উঠেছে। সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটা প্রতিবন্ধকতা হলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) বেশিদিন থাকতে চান না। তারা শহরের কাছাকাছি চলে যেতে চান। ফলে তারা একটা বিষয় নিয়ে লম্বা সময়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেন না। আবার জনপ্রতিনিধিরাও এক মেয়াদে আসার পর অনেকেই পরে দায়িত্বে আসতে পারেন না। তাই তারাও ঠিকমতো সমস্যাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন না। এ অবস্থায় জনসচেতনতার বিকল্প নেই। ‘ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে চাষাবাদের বিরোধিতা প্রথমে গবেষক এবং উন্নয়নকর্মীরাই করেছিলেন। তখন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে। এখন সমস্যাটা বিএমডিএও অনুধাবন করেছে। তারা এখন গবেষকদের পরামর্শ নিচ্ছে। সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করলেই সংকট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

পরিবর্তন পরিচালক রাশেদ রিপনের পরিচালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান দীপকেন্দ্রনাথ দাস। এসময় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রকল্প ব্যবস্থাপক হাসিবুল হোসেন, মহিলা পরিষদের জেলার সভাপতি কল্পনা রায়, ওয়েবের সভাপতি আঞ্জুমান আরা পারভীন, সদস্য শামীমা সুলতানা মায়া, জাতীয় আদিবাসী পরিষদের নেতা বিমল চন্দ্র রাজোয়াড় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডায়ালগে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাদের নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও মতামত তুলে ধরেন।